জোছনাকুমারী নক্ষত্র,,,, তোমার ভালাসার উদ্দীপনা নিয়ে আজ ও আগ...


জোছনাকুমারী নক্ষত্র,,,, তোমার ভালাসার উদ্দীপনা নিয়ে আজ ও আগামীরর শেষ বিলাস, ক্রমবর্ধমান পৃথিবীর চক্রীকায় হয় তো আমার বেচে থাকা দায়। জীবন পল্লীতে চলে যাওয়ার ক্লান্তি অনুভব করি। অতপর তোমার চেতনা শূন্য মনে নিরাশ্রয়ের আশ্রয় খুজছি। খুব মেঘ করে বৃষ্টি আসার পূর্বে রাতের আকাশ যখন অফুরন্ত উল্লাসে নিজেকে লালচে রং এ সাজায়, তখন আমার মাজে অদ্ভুত একটি ইচ্ছে জেগে উঠে। বোকা বোকা একটি ইচ্ছে, কিন্তুু এই ইচ্ছেটি আমার কাছে ভীষণ প্রিয়, রাতের মেঘলা আকাশ দেখলে কেন যেন আমার নির্জন একটি দ্বিপ কিনে ফেলতে ইচ্ছে করে, ইচ্ছেমত সবুজ আর নীলচে রং করা সেই দ্বিপটিতে শুধু আমার একলা রাজত্ব হবে,,, মাজ রাতের আকাশ ভেঙ্গে সেথায় যখন ঝুম বৃষ্টি নামবে, সেই বৃষ্টিতে আমি তখন দুরন্ত নদীর মত উল্লাসে মেতে উঠবো, সেই বৃষ্টির আনন্দ থেকে বঞ্চিত করার জন্য কোন শাসনের জাল আমাকে বাঁধতে আসবেনা, একলা দ্বিপে কেবল আমার মুগ্ধতায় মাখা বৃষ্টি বিলাস হবে। আর আমার সামনে থাকা ছোট্ট সমুদ্র তটে অবিরাম দুলতে থাকবে রঙ্গিন কোন পানসি। হতে পারে সেটি অনেক দূরের কোনো দ্বীপাঞ্জল থেকে ভেসে এসেছে, হতে পারে সেটি কোন খেয়ালী জোছনাকুমারীর বিলাসী ভ্রমন সঙ্গী। হয়তো সেই পানসিতে উদাস নয়নে বসে থাকবে সেই ভীষণ সাহসী বৃষ্টি মুগ্ধ জোছনাকুমারী, তখন উন্মাদ বৃষ্টিতে দ্বারিয়ে থেকে আমি দেখবো সেই জোছনাকুমারীর চুলের সাথে বাতাসের যুদ্ধ, বৃষ্টির ছিটেতে ঝাপসা হয়ে যাওয়া তার চশমার কাচঁ। এই যা!!! কি ভাবছি,,, আছে কোন জোছনাকুমারী যে কিনা চোখে চশমা পড়ত? কি জানি!! নিজের অজান্তেই হেসে ফেললাম, আমার ভাবনা গুলি এত বাউন্ডুলে হয় কেন? আমার এই অদ্ভুত কল্পনা বিলাসীতায় কি কোন কারন থাকা উচিত??? কেন জানি খুব কান্না পাচ্ছে!! শূন্যতা পূর্ণতা নির্ভরতা নাকি নিঃসঙ্গতার জন্য জানিনা শুধু বুঝতে পারছি বুকের ভিতরে কোথায় যেন লুকানো জায়গা থেকে একদল অভিমান প্রচন্ড কান্না হয়ে দু চোখ ফেটে বেরুতে চাইছে। তুমি কাছে নেই বলে শূন্যতা তার নিষ্ঠুর খেলা দেখাচ্ছে। আমি যে এখন তোমার তরে মুখ লুকিয়ে বাচঁতে চাই। কিন্তুু আজ তুমি কত দূরে বলতে পার??? কারন শূন্য এই আমি আরশিতে নিজেকে দেখি জলের ছায়ায় কাতর রাতের অন্ধকারে, স্বপ্নে তোমার হৃদয় বাসে আমার এলোমেলো বিশৃঙ্খলা, আজ রোগ ভোগে জর্জরিত এই আমি নিজেকে প্রদক্ষিণ করি বারবার। আমার অপুর্ণ মনোরথ অনাহত মুক্তির স্বপ্ন দেখে, সময়ে ঘেরা আমার টুকরো টুকরো ইচ্ছে গুলো ছড়িয়ে যায় চারিপাশে। হয়তো কোন দ্বীপ দ্বারে পরমানু হয়ে ঝরে পরবে বিচ্ছিন্ন অস্থিরতা নিয়ে, এই বিরহে অসহ্য যন্ত্রনায় ঠোট কেপে উঠে, বুঝিনা কেন এই অসহ্য যন্ত্রণা। ক্ষণস্থায়ী এ জীবনের অনুভূতি কত বিচিত্র, কত তুচ্ছ কারনে চোখ ঝাপসা হয়ে যায়। আবার উলট পালট হয়েও কী শান্ত কী স্থির মানুষের হৃদয়, ভালোবাসা ময় জীবনে ছড়িয়ে থাকে রহস্যময়তা আর বৈচিত্র্যতা আর সে গল্পে ডেউ তুলে আমার প্রমিক হৃদয়, মনে পড়ে যায় ফেলে আসা দিন, এক অন্তবিহীন। ভেলকনিতে রাখা নয়ন তারার পাপড়িতে চুপটি করে থাকা শিশিরের সকাল তুমি। হালকা ঝিরিঝিরি বাতাস যখন সরলতা গুলোকে কাপিয়ে দিয়ে যায়। তখন আমার খুব ইচ্ছে করে, ঐ বাতাসে তোমার অবাধ্য চুলের উড়োউড়ি দেখতে। আজ দুটি পাখি উড়ে এসে আমার খোলা বারান্দায় বসল, বুঝলাম দুটি মনের মিল ছিল বলেই আজ সারাটা দিন তোমার কথা ভেবেছি, রৌদ্রে দেখেছি তোমার হাসি মেঘে দেখেছি তোমার কালো চুল, বাতাসে ভেসে আসা গন্ধে পেয়েছি তোমার চুলের গন্ধ। আমায় সে গন্ধ বড় আনমনা করে দেয়। অপূর্ব চাদের আলোয় ভেসে যাচ্ছে ঘর, অাটপৌরে মশারীর শরির গলে সেই আলো চুইয়ে এসে পরছে বিছানায়। আর জোছনাকুমারীর নক্ষত্র পূর্ণ জোছনার আলোতে স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে একটি সোনালী দ্বীপ। আজ শেষ বিকেলের পাহাড় ছুয়ে ছুটে আসা দমলা হাওয়ায় জরিয়ে দেয়া মেঘের মত ছোট্ট একটি ঘটনা আমার সব দ্বিধাকে উড়িয়ে নিয়ে গেল। বুঝলাম মহাকাল যে হাস্যকর ক্ষুদ্র সময়কে জীবন বলে আমাকে দান করেছ, আর সেই জীবনে তুমিই আমার একমাত্র দ্বীপ। আজ প্রতিটি ক্ষন হৃদয়ে যে পরম সত্য অনুভব করলাম, আর যে শেষ ঠিকানা আমি পেলাম, তা কখনো মিথ্যে হতে দিওনা, কখনো ছিটকে ছোড়ে ফেলনা আমায়, আজ আমার ভীষন সুখী হাত দুটি ধরো,,, দৃষ্টি ঘুরিওনা এ অদ্ভুত সুন্দর চোখ জোড়ার, যেখানে অপলক তাকিয়ে বৃষ্টির সাথে আমিও আনন্দে ঝরতে চাই। যার পাচঁটি আঙ্গুলের শরনার্থী আমার পাচঁটি আঙ্গুল হয়তো আমার ঘ্রান শক্তির একমাত্র গন্তব্য। যার এলোমেলো চুলে আমি হারিয়ে যাব আর হারাবো ভালোবাসতে বাসতে। নয়তো দুটো গোলাপি মধুভরা ঠোটের উষ্ণতায়। জীবন আজ ঠিক সেই অদ্ভুত তোমা ফুলের মতই সুন্দর যা দেখে আমি চমকে উঠেছিলাম। মনে হয়,,, আজ দুজনার দুটি মনের উঠুন এক হয়ে গেছে, ঠিক এই মূর্হুতে আমি যেন তোমার পরিবর্তন দেখতে পাচ্ছি। মনে হচ্ছে চিৎকার করে সমস্ত পৃথিবীকে বলছ ভালোবাসি ভালোবাসি। আর কাউকে ভালোবাসলে তার উপর অধিকার বোধ এমনিতেই জন্ম নেয়। আর সেই অধিকার বলে ভাঙ্গা ভাঙ্গা কন্ঠে অশ্রু সিক্ত চোখে চেয়ে কারন শূন্য মন নিয়ে আমায় আবিষ্ট করে বলছ, প্রতিটি পূর্ণ স্নিগ্ধ সকালের প্রথমায় তুমি আমার। জান ভাবতাম ভালোবাসা দেখে শুনে বেছে খুজে মিলিয়ে তার পর হয়। কিন্তুু না,,, ভালেবাসা হয় আচমকা, নিরবে, নিভৃতে, নিঃশব্দে। ভালোবাসার জন্ম হয় ভালোলাগা বা মুগ্ধতার উপর ভিত্তি করে। যতক্ষণ ভালোবাসা প্রকাশ না পাবে ততক্ষণ তা মনকে পোড়াতেই থাকবে, পোড়াতে পোড়াতে চৌচির চিত্রা নদী চন্দন বনে অগ্নির মত জ্বলে। আমি যে তোমার জোছনাকুমারী নক্ষত্র,,, আমায় গ্রহন কর আমিযে কেবলী তোমার, তোমার জয় করা গ্রহ পল্লবীর নক্ষত্ররাজী। তুমি আরো আবেগী হয়ে,,, অশ্রু জরা স্বরে আমার কাছে এসে আমার হাতটি ধরে বললে, এমন করে নিরাশ্রয়ের মত আশ্রয় চেওনা ছলছল চোখে চেওনা, ঐ কাতর কন্ঠে বার বার বিদায়ের গান গেওনা, আমি যে কেবল দেখি ভালেবাসার দেয়াল জুড়ে একটি প্রজাপতি,,, জান সে প্রজাপতিটি কে? নিপুন মনের ঘর থেকে লুটপাট হয়ে যাওয়া চিরন্তন ভালোলাগা ভালোবাসা, সেই তুমি এই তুমি, আমার চন্দ্র মনের মুগ্ধ করা চিঠির বাহক। সত্যি বলছি আমি তোমার, তোমার নক্ষত্র মন বিলাসী, তোমার জীবন হিসাবে আমাকে মিলিয়ে নাও। আমি যে তোমায় আমার অনন্ত হিসাবে মিলিয়ে নিয়েছি। অতপর আমি গহিন প্রেম দ্বারে তোমার তরে আমার সার্থক জীবন বিলিন করলাম......। বিঃদ্রঃ--বাস্তবিক আমি ইহাই শুনতে চাই তোমা মধু কন্ঠ থেকে। অপেক্ষার বিলিনে থেকে অপেক্ষায় রইলাম। বিদায় জোছনাকুমারী নক্ষত্র। লেখক: Mahedi Amin Khan

View more on Facebook


share via


Leave a Message

×
×

This site was designed with Websites.co.in - Website Builder

WhatsApp Google Map

Safety and Abuse Reporting

Thanks for being awesome!

We appreciate you contacting us. Our support will get back in touch with you soon!

Have a great day!

Are you sure you want to report abuse against this website?

Please note that your query will be processed only if we find it relevant. Rest all requests will be ignored. If you need help with the website, please login to your dashboard and connect to support

;